পাকিস্তানের সিনঝোরো শহরে ৪৪ বছর বয়সী হিন্দু মহিলা দয়া ভিলকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। গত ২৭ ডিসেম্বর তার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। খুনের আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ খুনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত একটি কাস্তে উদ্ধার করেছে, যা দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় পাকিস্তানের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দয়া ভিলের মাথা কেটে ফেলা হয় এবং তার বুক মারাত্মকভাবে ক্ষতবিক্ষত করা হয়। পাকিস্তানের প্রথম হিন্দু মহিলা সেনেটর এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের কথা টুইটারে উল্লেখ করেছিলেন। এদিকে, খুনের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা কাস্তে এবং একটি চাদর তদন্তের জন্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। কাস্তেটি সিন্ধের স্বাস্থ্য দফতরের গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে, যেখানে এটি খুনের কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল কিনা তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।
দয়া ভিলের ছেলে সোমা জানান, তিনি জমিতে মায়ের দেহ খুঁজে পেয়েছেন। দেহটি মারাত্মকভাবে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় ছিল, যা তাকে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করেছে। তিনি বলেন, মাকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছিলেন না এবং শেষ পর্যন্ত জমি থেকে তার দেহ উদ্ধার করেন। পুলিশ ইতিমধ্যে এই ঘটনা তদন্তের জন্য একটি বিশেষ টিম গঠন করেছে।
তদন্তকারীরা খুনের আগে দয়া ভিলকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছেন। এছাড়া, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ এবং ফরেনসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। খুনের পেছনে কারা জড়িত এবং এর পেছনে তান্ত্রিক রীতির কোনো সংযোগ আছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, দয়া ভিলের দেহ থেকে স্তন, চামড়ার কিছু অংশ এবং পাঁজরের একাংশ কেটে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড পাকিস্তানের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন